পঞ্চগড় চিনিকল রক্ষার দাবীতে আখচাষী ও শ্রমিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ ও স্বারকলিপি প্রদান


পঞ্চগড় থেকে কামরুল ইসলসাম কামুঃ
 

পঞ্চগড় সহ দেশের ছয়টি চিনিকল চালুর দাবিতে ও স্বারকলিপি প্রদান করেছে পঞ্চগড় চিনিকল আখচাষী ও শ্রমিক -কর্মচারীরা। টানা ৯ দিন ধরে অব্যাহত রয়েছে এই বিক্ষোভ। বুধবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ১২ টায় পঞ্চগড় চিনিকলের প্রধান ফটোকের সামনে থেকে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এসময় চিকিকলের সাথে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করে।

পরে তারা ৫ দফা দাবী সম্বলিত একটি স্বারকলিপি নিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর  প্রদান করে। এসময় বিক্ষোভকারীরা পঞ্চগড় চিনিকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করে শ্রমিক কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ করে পঞ্চগড় চিনিকল চালু রাখার দাবী জানান। 

পঞ্চগড় চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, রোকনুজ্জামান  সাংস্কৃতিক সম্পাদক নবী হোসেন সহ নেতা-কর্মীরা বক্তব্য রাখেন। স্বারকলিপিতে তারা বলেন ‘চিনিকল কখনো লোকসান হয়না।

একয় ও বিক্রয় মূল্যের সাথে আখচাষি ও শ্রমিক -কর্মচারির সম্পৃক্ততা নেই। তারা আরো দাবি করেন ‘এককেজি চিনি উৎপাদন ব্যয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দেখানো হয় তা সম্পূর্ন অমূলক। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা,দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, ও মাথাভারি প্রশাসন সহ নানাবিধ কারনে চিনি শিল্পের ভঙ্গুর অবস্থা। স্বারকলিপিতে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কে তারা বলেন ‘ মায়নামার থেকে উদ্বাস্তু ১৩ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমানকে আশ্রয় দিয়ে তিনি মানবতার ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। 

তার নাম ‘ জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাই আমরা গর্বিত।বর্তমান চিনিশিল্পের চেয়ারম্যান ভুল তথ্যউপাত্ত দিয়ে সরকারকে বিভ্রান্তিতে ফেলেছে। তারা আরো বরেছেন অসাধু চিনি ব্যবসায়িরা প্রাইভেট চিনিকলে অস্বাস্ব্যকর চিনি উ’ৎপাদন করে দেশের জনগনকে স্বাস্থ্য ঝূঁকিতে ফেলেছে।তারা দেশের চিনিকলগুলিকে পর্যায়ক্রমে আধুনিকায়ন করে মিল চালু রাখার দাবি জানায় ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ