আঃ মতিন সরকার,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে উপজেলা শিক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সরকারি বরাদ্দের মাধ্যমে ৭৪ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ হচ্ছে। ইতিমধ্যে সকল প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে।
উপজেলার ২৫৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১০৮টি বিদ্যালয়ের বিপরীতে গত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে সংস্কার, মেরামত ও অবকাঠামো উন্নয়ন মুলক কাজের জন্য ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। এর মধ্যে ৬৮টি স্কুলের প্রত্যেকটির বিপরীতে ২ লাখ করে এবং ৪০টি স্কুলের প্রত্যেকটির বিপরীতে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
উপজেলার বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নাই। এছাড়া মুজিব শতবর্ষের আলোচনার সিদ্ধান্ত মোতাবেক যে সব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নাই সে সব প্রতিষ্ঠানে শহীদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হয়। শান্তিরাম হাজী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালযের প্রধান শিক্ষক শাহজান মিয়া জানান একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান উপকরণ হল শহীদ মিনার।
সে কারনে শহীদ নির্মাণ করণের সিদ্ধান্তটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এলাকার অভিজ্ঞ মহল এবং অভিভাবক এনিয়ে মহাখুশি। বেলকা মনিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানান তার বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে। সে কারনে সংস্কারের টাকা দিয়ে তিনি পতাকা স্টান্ড এবং শহীদ মিনার মেরামত করেছেন।
তিনি বলেন প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার অত্যন্ত আবশ্যক। কারন বিভিন্ন স্বরণীয় বরনীয় দিবসগুলো পালন করতে গেলে শহীদ মিনার ছাড়া অনুষ্ঠান করা বেমানান দেখায়। উপজেলা শিক্ষা অধিদপ্তরের এই মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাতে হয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসার এ কে এম হারুর-উর রশিদ জানান মুজিব শতবর্ষের আলোচনার সিদ্ধান্ত মোতাবেক যে সব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নাই সে সব প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের টাকা দিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে।
সে মোতাবেক শহীদ মিনার নির্মাণ হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৭৪টি প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। সুযোগমত আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ