ঠাকুরগাঁও দুলালী হত্যার রহস্য উন্মোচনে জেলা পুলিশের প্রেস ব্রিফিং


মেহেদী হাসান,ঠাকুরগাঁওঃ 
ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দুলালী হত্যাকান্ড ও জুলুমবস্তির মাধ্যমে উদ্ধারকৃত শিশু শুভকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু তাহের মো: আব্দুল্লাহ, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভিরুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) গোলাম মোর্তুজা, অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন) নাজমুল হক, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী প্রমুখ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামাল হোসেন সম্প্রতি সদর উপজেলার নারগুনে দুলালী হত্যাকান্ডের বিষয়ে জানান, দুলালীর স্বামীর সাথে বনিবনা না হলে রাগ করে সে বাপের বাড়িতে এসে বসবাস করতে থাকেন। সম্প্রতি সদর উপজেলার বড়গাঁও এলাকার মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে মহব্বতের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৮ মে মহব্বত মটরসাইকেল যোগে দুলালীকে নারগুন এলাকার একটি জঙ্গলে নিয়ে যায়। দুলালী তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুতে রাখে। পরে ১ জুন তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দুলালী হত্যাকান্ডে জড়িত মহব্বতকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারে পুলিশ। ইতিমধ্যে মহব্বত ঠাকুরগাঁও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: আরিফুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।

মহব্বত জানায়, সে ইতিপূর্বেই বিবাহিত। বিয়ের জন্য দুলালী তাকে চাপ দিলে সে তাকে হত্যা করে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে মাটিতে পুতে রাখে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে গত তিন দিন পূর্বে জুলুমবস্তির মাধ্যমে উদ্ধারকৃত   শিশু শুভকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শুভ নরসিংদি থেকে ট্রেনযোগে ঠাকুরগাঁওয়ে চলে আসে। ৩ দিন ধরে সে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভিরুল ইসলামের নিকট ছিল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ