নাটোরে বাগাতিপাড়ায় স্বাধীনতা উত্তর বাঁশবাড়িয়া মুন্সিপাড়া-জাগিরপাড়া ভায়া করমদোশি রাস্তা পাকাকরণে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

মোঃ মামুনুর রশিদ মাহাতাব, বিশেষ প্রতিনিধি
নাটোরে বাগাতিপাড়ায় স্বাধীনতা উত্তর নিভৃত পল্লীর অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ বাঁশবাড়িয়া মুন্সিপাড়া-জাগিরপাড়া ভায়া করমদোশি রাস্তাটি পাকাকরণে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।রাস্তাটির উন্নয়নে   নজর পড়েনি কোন জন প্রতিনিধির। এলাকাবাসি রাস্তাটি পাকাকরণ না হওয়ায় চরম দূর্ভোগ পোহায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতে কষ্ট পায়। রাস্তাটি পাকাকরণে মানব বান্ধন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসি।
সরেজমিনে জানাযায়,নাটোরের বাগাতিপাড়ার বাঁশবাড়িয়া মুন্সিপাড়া-জাগিরপাড়া ভায়া করমদোষি রাস্তাটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। যার নং ১৬৯০৯৪০৩২। এর দূরত্ব .৬৫ কিলোমিটার। জামনগর ইউনিয়নের সবচেয়ে দীর্ঘ রাস্তাটি অত্যন্ত অবহেলিত উন্নয়ন বঞ্চিত। স্বাধীনতা উত্তর কেউ রাস্তার উন্নয়নেএগিয়ে আসেনি পাকাকরণের উদ্যোগ নেয়নি কোন জনপ্রতিনিধি। চরম দূর্ভোগের শিকার এলাকাবাসি। আঁকা-বাঁকা রাস্তাটি বাঁশবাড়িয়া বাজার থেকে বেরিয়ে  মুন্সিপাড়া,পাঁচানিপাড়া,পুকুরপাড়া, কৈপুকুরিয়া, দোবিলা করমদোষি এলাকার মধ্য দিয়ে মোশাখাঁ নদী পেরিয়ে জাগিরপাড়া মোড়ে পৌঁছেছে। রাস্তায় জাগিরপাড়া, উমরগাড়ি, জয়রামপুর, করমদোষি, দোবিলা, ভিতরভাগ,রওশনগিরিপাড়া, কৈপুকুরিয়া, পুকুরপাড়া,মাজপাড়া, পাঁচানিপাড়া, মুন্সিপাড়া বাঁশবাড়িয়া এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন প্রতিনিয়ত যাতায়াত বিভিন্ন পণ্য  আনা-নেওয়া করেন।
সব নিভৃত পল্লী এলাকার সিংহভাগ পরিবার কৃষিকাজে সংপৃক্ত। কৃষি কাজের পাশাপাশি শিক্ষা বিদ্যুতায়নেও এগিয়ে এলাকাগুলো। কিন্তু উন্নয়ন হয়নি রাস্তা ঘাটের।
দীর্ঘ আঁকা-বাঁকা মেঠো পথটি  খাদ-খন্দকে ভরা। গ্রীষ্মে রাস্তার ধূলো-বালি বর্ষায় হাঁটু কাদায় জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হয়। লোকজন ধূলো-বালি হাঁটু কাদা মাড়িয়ে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াতে অত্যন্ত  কষ্টের শিকার হয়। শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ধূলো-বালি হাঁটুকাদা মাড়িয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতে দিশেহারা হয়ে পড়ে কৃষকরা কৃষি পণ্য পরিবহণে অতি কষ্ট পায়। দূর্বিষহ জীবন যাপনে বাধ্য হয় এলাকাবাসি
পনের বছর আগে তৎকালীন জামনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের আমলে বাঁশবাড়িয়া থেকে মুন্সিপাড়া পর্যন্ত .২৩ কিলোমিটার রাস্তা কার্পেটিং করা হয়। অবশিষ্ট .৩৩কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে অযত্নে-অবহেলায়। এলাকার উন্নয়নেরাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণ হওয়া দরকার।
কালিকাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের  শিক্ষক  পুকুরপাড়া এলাকার ইদ্রিস আলী জানান, রাস্তাটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অবহেলিত উন্নয়ন বঞ্চিত।  বাংলাদেশর স্বাধীনতা উত্তর  সরকারি ভাবে রাস্তার উন্নয়নে তেমন কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নির্বাচিত জনপ্রতিনিরা রাস্তাটি পাকাকরণের আশ্বাস দিলেও ব্যর্থ হয়েছেন। বর্তমান সরকারের মেয়াদে রাস্তাটি পাকাকরণের অনুমোদন হবে বলে তিনি আশাবাদী
জামনগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস জানান, রাস্তাটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। রাস্তার জাগিরপাড়া আক্তার মোড়-দোবিলা মোড় পর্যন্ত  মাননীয় সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। যা ট্রেন্ডার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সংসদ সদস্যের মাধ্যমে রাস্তাটি পাকাকরণের চেষ্টা করা হবে


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ