ডোমারে প্রধান সড়কটি মেরামত কাজ ধীর গতিতে

রতন কুমার রায়,স্টাফ রিপোর্টারঃ
নীলফামারীর ডোমার পৌর শহরের প্রধান সড়কটি বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে কয়েক মাস ধরে মেরামতের কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এ জন্য ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। 

এরফলে বিকল্প রাস্তা ব্যবহারে ছোট-বড়সহ বিভিন্ন ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে পৌর এলাকার ৪টি সড়ক নষ্ট হয়ে গেছে। অতিরিক্ত চাপের কারণে সড়কগুলোর কোথাও কোথাও হাঁটু আবার কোন স্থানে এরচেয়েও বড় গর্ত হয়েছে। 

ভরা বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টিতে গর্তগুলো পানিতে ভরে গেছে। এতে বুঝার উপায় নাই, কোথায় গর্ত আর কোথায় ভালো। প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। এতে সড়কগুলো চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কগুলোর সাথে তৈরী ড্রেনগুলোও ভেঙে যাচ্ছে। ছোট সড়কগুলোর দুই দিকে দুইটি গাড়ি এলে ওই সড়কে কয়েক ঘন্টা যানজট লেগে যাচ্ছে।

এতে ডোমার পৌর এলাকার মানুষজনের দূর্ভোগ চরমে উঠছে। জানা গেছে, ২০১৯ সালে নীলফামারী সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) ডোমার থানা হতে বাসস্টান্ড পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক মেরামতের জন্য টেন্ডার আহবান করে। 

কাজটি হক এন্টার প্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শুরু করে। টিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিজের খেয়াল-খুশিমতো নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত সময় নিয়ে কাজ করে। এতে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে বিকল্প সড়ক হিসাবে পাড়া-মহল্লার ছোট ছোট সড়কগুলো দিয়ে বিভিন্ন ভারী যানবাহন চলাচল করছে কয়েক মাস ধরে। 


চিকনমাটির মোড় থেকে স্টেশন হয়ে মুচির মোড়ের সড়কটি দিয়ে সবচেয়ে বেশী ভারী যানবাহন চলাচল করে। এতে ওই সড়কে কোথাও হাঁটু আবার কোথাও এর চেয়ে বড় গর্ত হয়ে গেছে। বৃষ্টির পানিতে বুঝার  উপায় নাই। কোথায় গর্ত আর কোথায় ভালো। এতে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। 


নীলফামারী মেইন সড়ক হতে এলএসডি-সাহাপাড়া হয়ে বাজার পর্যন্ত সড়কে অটো-রিক্সা, মাইক্রো-বাস, ট্রাক্টর ও মটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। দুই দিক হতে দু’টি মাইক্রো পারাপার হতে লেগে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট। ট্রাক্টর চলার কারনে সড়কের সাথে ড্রেনটি ভেঙে একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। 


নতুন বাসস্টান্ড হতে সবুজপাড়া-প্রশিকার মোড়-বুড়ির দোকান পর্যন্ত ও বন বিভাগ থেকে ডাকবাংলো সড়ক ছাড়াও অন্যান্য সড়কগুলোতে ভারী যানবাহন চলাচল করছে। এতে ওই সড়কগুলোরও বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। 


এ বিষয়ে পৌর এলাকার ভুক্তভুগি মানুষরা ডোমার প্রধান সড়কটির মেরামত কাজ দ্রুত শেষ ও ক্ষতিগ্রস্থ অন্যান্য সড়কগুলো পুনরায় মেরামত করার দাবী করে। 


এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী ইব্রাহীম জানান, পাথরের সংকটের কারণে, কাজটি যথা সময়ে শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে কাজটি শেষ করার তিনি আশা করছেন।


নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জুরুল করিম জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন এবং পাথর সংকটের কারণে কাজটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হয় নাই। কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য আমি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বারবার তাগাদা দিচ্ছি।


এ বিষয়ে ডোমার পৌর মেয়র আলহাজ্ব মনছুরুল ইসলাম দানু ও কাউন্সিলর আক্তারুজ্জাসান সুমন জানান, শহরের প্রধান সড়কটির মেরামতের কাজের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে পৌর এলাকার অন্যান্য ছোট সড়কগুলো দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করছে। 

এরফলে ওই সড়কগুলোর বেহাল অবস্থা হয়েছে। সাথে ড্রেনগুলোও ভেঙে গেছে। দ্রুত প্রধান সড়কটি মেরামত করে যানবাহন চলাচলে উন্মুক্ত করা না হলে, ছোট ছোট অন্যান্য সড়কগুলোর বাকি যেটুকু টিকে আছে, সেইটুকুও নষ্ট হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ