ছেলের সামনে বউকে বটি দিয়ে কুপিয়ে জখম করল দজ্জাল শাশুড়ি শাহানারা

মোহাম্মদ হায়দার আলী, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার ১০নং ইউনিয়ন এর ৬ নং ওয়ার্ড এর অন্তর্গত নাউলা বত্তের বাড়ীতে গতকাল ২৬ মার্চ ২০২০ইং রোজ বৃহঃপ্রতিবার, রাত ১০ টায় আযান দেয়া কে কেন্দ্র পুত্রের সামনে শাশুড়ি দা দিয়ে কোপাল নিজের পুত্রবধুকে।

বিবরণ জানা যায়,গতকাল হঠাৎ সারাদেশে,বিশেষ করে চট্টগ্রামে রাত দশটায় একযোগে সবাই মসজিদে,বাসায় আযান দিয়েছে। এই নিয়ে দেশে চলছে পক্ষে বিপক্ষে তুমুল আলোচনা।তথ্য সুত্রে জানা যায়,চট্টগ্রাম এর সমমনা ইসলামী আলেম এই কাজ সম্পাদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা মন্তব্য চলছে।

এদিকে চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার ১০নং ইউনিয়ন এর ৬ নং ওয়ার্ড এর অন্তর্গত নাউলা বত্তের বাড়ীতে গতকাল ২৬/৩/২০২০ইং বৃহঃপ্রতিবার, রাত ১০ টার সে আযান দেয়া কে কেন্দ্র কামাল হোসেন (৩৫) এর মা শাহানারা বেগম (৬০) তার পুত্রবধু তানজিনা আক্তার (২৪) কে দা দিয়ে কুপিয়ে হাতের তিনটি আংগুল কেটে দিয়েছে এবং কপালে, চোখে ও শরীরের অন্যান্য যায়গায় মারাত্মক ভাবে জখম করে।এই সময় মায়ের সাথে হাত মিলিয়ে ভাইয়ের বউকে মারধর করে ননদ মনিকা আক্তার মনি (৪০) স্বামী মৃত আবু হোসেন।

জানা যায়,গতকাল রাত ১০ টা নাগাদ হঠাৎ চারিদিকে আযান শুরু হলে তা শুনে তানজিনা আক্তার তার স্বামী কামাল হোসেন থেকে জানতে চাইলে, কামাল হোসেন জানান, দেশে করোনা নামক মহামারী হতে বাঁচতে, আল্লাহর রহমত পাওয়ার আসায় সারাদেশে মসজিদে মসজিদে আযান দিচ্ছে। দেশে আল্লাহর গজব চলতেছে।তাই সবাই আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছে।

এই সময় তারা প্রতিদিনের নিয়ম অনুযায়ী ভাত খেতে বসেছিল,তখন তানজিনা আক্তারের দজ্জাল শাশুড়ী এসে বলতে লাগল তোমরা এখন ভাত খাচ্ছ কেন?দেখতেছ না আযান দিচ্ছে? এই বলে ক্ষান্ত হয়নি সে।নানান কথা বলতে শুরু করে দিল,তখন ছেলে কামাল হোসেন তার মাকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য না করার জন্য বল্লে তার মা তার কোন কথারই কর্ণপাত না করে,তার বউ কে গালিগালাজ শুরু করে দিল,পুত্রবুধুর উদ্দেশ্যে বলতে লাগল "তোমরা রং দেখেছ কিন্তু রংগের ডিব্বা দেখনি" এভাবে নানা রকম কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য সহ গালিগালাজ করতে লাগল।

তানজিনা আক্তার তার শাশুড়ি কে বলল, মা আমরা তো আগে থেকেই ভাত খেতে বসেছি,আর এখন আযান দিবে তাতো আমরা আগে থেকে জানতাম না,আর আযান দিলে ভাত খেতে পারব না এটা তো জানতাম না!সে কথাগুলু বলতে না বলতে তার ননদ মনিকা আক্তার এসে তর্কাতর্কি শুরু করে দেয়,সে সময় তার শাশুড়ি এসে দা দিয়ে কামালের স্ত্রী তানজিনাকে কুপাতে শুরু করে দেয়, হাতের ৩ টা আংগুল দা দিয়ে কুপ দিয়ে কেটে দেয়,এবং মুখে,চোখে ও কপালে মারাত্মক ভাবে জখম করে।

জানা যায়,তানজিনা আক্তার (২৪ ) এর একটা ৪ মাসের শিশু রয়েছে (সিজার এর মাধ্যমে) তার জন্ম হয়েছে। এমন সময় তার হুশ চলে যায়,কামাল তখন অন্য রুম হতে দৌড়ে এসে তার বউকে এমন অবস্থায় দেখে পাড়া-প্রতিবেশীদের ডাকতে শুরু করে।
তখন তার চাচা আলমগীর হোসেন, ভাই সম্পর্কিত
আবুল হোসেন শাহজাহান, ফরহাদ সহ আশেপাশের লোকজন এসে দেখে তানজিনার হাত থেকে ও মুখ থেকে রক্ত ঝরছে,

তারা চেষ্টা চালায় রক্ত বন্ধ করতে,জখম বেশি হওয়াতে রক্ত বন্ধ না হলে, তাকে রাত আনুমানিক ১২ টা নাগাদ কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়,এবং প্রায় ১২ টা সিলায় করে,দেশে করোনার ভাইরাস এর কারনে ও অন্যান্য বিষয়ের কারনে রুগীকে হাসপাতালে না রেখে ডাক্তার তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।তানজিনা আক্তার এখন বাড়ীতে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে মোঠোফুনে তানজিনা আক্তার এর স্বামী কামাল হোসেন থেকে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তার মায়ের এমন অপরাধের শাস্তির দাবি করেন এবং একই সাথে তার বোন মনিকার ও শাস্তির দাবি জানান। জানা যায়,তার বোন স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে তাদের সাথে অবস্থান করছে।

ঘটনার বিষয়ে উপস্থিত কয়েকজনের সাথে মোঠোফুনে কথা বলে জানতে পারি,তানজিনা বেগমের শাশুড়ি শাহানারা বেগম দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়ে মনিকার সহযোগিতায় পুত্রবধু তানজিনাকে নানা ভাবে নির্যাতন করে আসছে।শাহানারা বেগম খুবই খারাপ স্বভাবের মহিলা। সে খুব খারাপ ভাষায় কথা বলে,আর পাড়া প্রতিবেশীকে কারনে অকারনে নানা প্রক গালিগালাজ করে।সে দজ্জাল প্রকৃতির মহিলা।

এ বিষয়ে তথ্য নিতে ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মনির এর নিকট কল করলে তাকে কলে পাওয়া যায়নি।
স্হানীয় প্রতিবেশী এয়ামিন বলেন শাহানারা বেগম তার পুত্রবধু তানজিনা কে নিজের ছেলের উপস্থিততে এভাবে দা দিয়ে কুপানোর ঘটনায় আমরা তিব্র নিন্দা জানাচ্ছি, এবং দ্রুত তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।তানজিনা বেগমের স্বামী কামাল হোসনে এই বিষয়ে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে চেকপোস্ট পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি কে জানিয়েছেন। বিস্তারিত পরবর্তী নিউজে.....

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ