ঝালকাঠিতে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে দুটি বাল্যবিবাহ পন্ড

সৈয়দ রুবেল, ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতাঃ
ঝালকাঠিতে ইউএনও তানিয়া ফেরদৌসের হস্থক্ষেপে দুটি বাল্যবিয়ে পন্ড হওয়ার মাধ্যমে দুইজন স্কুল ছাত্রী ফিরে পেল নতুন জীবন। 

ঝালকাঠি  সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ফেরদৌসের হস্থক্ষেপে  দুটি বাল্য বিয়ে পন্ড হয়েছে। 

উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের দাড়িয়াপুর গ্রামের জৈনক জব্বার হাওলাদারের বাড়ীতে ঢাকা থেকে ১৩ বছর বয়সী ৯বম শ্রেনী এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে নিয়ে ১৭ বছর বয়সি আল-আমিন পালিয়ে তার নানা বাড়িতে আসে। পরে আল-আমিনের নানা জব্বারের সহযোগীতায় গত ০৮/০২/২০২০ইং তারিখ  দিবাগত রাতে ঐ বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় গুনজন শুরু হলে একপর্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ফেরদৌস জানতে পারেন। 

পরে ঐ রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ও স্থানীয় ইউপি সদস্যে দ্বীর্জদাশ ব্যানার্জীর মাধ্যমে বিয়ে বন্ধ করে। পরে ছেলে ও মেয়ের অবিভাবক ডেকে বাল্যবিয়ে দিবেনা মর্মে লিখিতভাবে মুছলেকাহ রেখে ছেলে ও মেয়েকে যার যার অভিভাবকদের হাতে তুলে দেন।

 অপরদিকে একটি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের ১২ ঘন্টা যেতে না যেতেই ০৯/০২/২০২০ইং তারিখ উপজেলার গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বালিঘোনা আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম বাবুলের ছেলে শফিকুল ইসলাম (১৯) এর সাথে একই এলাকার বাসিন্দা ১৩ বছর বয়সী ৯ বম শ্রেনী স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ের আয়োজন করে। 

তাদের বিয়ের আয়োজনের সংবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্মতা তানিয়া ফেরদৌসের নজরে আসলে তার হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে পন্ড হয়। পরে সেখানে একইভাবে সন্তানদের অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দিবো না মর্মে ছেলে ও মেয়ের অভিভাবকগণ মুছলেকা প্রদান করেন। 

এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ফেরদৌস  জানান, , বাল্য বিয়ের কারণে শিশুদের শিক্ষালাভ বাঁধাগ্রস্ত হয়, বিশেষ করে কন্যা শিশুদের উপর প্রভাবটা বেশি পরে। 

তাই গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে আমাদের সর্বদা দৃষ্টি রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। 

আর তারই ধারাবাহিকতায় আমি ও আমার প্রশাসন এই উপজেলায় বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ