লং বীচে নয় নিটল বে রিসোর্টে অবস্থান করেছিলেন আরফিন, পর্ব-১
বামে আরফিন, মাঝে নিটল বে রিসোর্ট, ডানে আবির। |
মোঃ মনছুর আলম (এম আলম):
কক্সবাজার শহরের পর্যটন স্পষ্ট কলাতলিতে 'নিটল বে রিসোর্ট' এ অবস্থান করেছিলেন ইয়াবা সেবনে মারা যাওয়া ২ বন্ধুর মধ্যে মোহাম্মদ আরফিন। গত ৩০ জানুয়ারী 'নিটল বে রিসোর্টে' ২ দিন অবস্থান করে ১ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় চলে যান। পরে ২ ফেব্রুয়ারী (রবিবার) মোহাম্মদ আরফিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এদিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার আরেক বন্ধু আবির রহমান রুমি মারা যান। আবির ঢাকা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও আরিফিন ঢাকার ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।আবিরের বাড়ি ঢাকার মালিবাগে ও আরিফিনের বাসা ঢাকার পুরান ঢাকায়।
আবিরারের এক নিকটাত্মীয় মমতাহসিন জানান, আবির বন্ধুদের সাথে কক্সবাজারে গিয়ে প্রথমে 'ওসান প্যারাডাইস' এ অবস্থা করেছিলেন। পরে নিটল বে রিসোর্টে রুম নিলে অসুস্থতাবোধ করেন। পরে হাসপাতাল নিয়ে গেলে মারা যান। নিটল বে রিসোর্ট এর সিনিয়র অফিসার সামসু জামান বলেন, গত ৩০ জানুয়ারী মোহাম্মদ আরফিন সহ ৫ জন রুম নিলেও আবির নামের কোন ব্যক্তি তাদের সাথে ছিল না। এছাড়াও তারা ৫ জন ব্যক্তি সুস্থ অবস্থায় রুম ছাড়েন বলে জানান। তবে এখনো পর্যন্ত আবির কোথায় অবস্থান করেছিল তার কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
আবিরের মৃত্যুর কারণ জানতে চেয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শাহীন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব নয়।
লং বীচের রেসিডিয়েন্ট ম্যানেজার মোঃ মাসুদ রানা বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম সঠিক তথ্য না জেনে তাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে খবর প্রকাশ করতেছে। আরফিন কিংবা আবির নামের কোন গেষ্ট গেল কয়েকদিনের মধ্যে লং বীচে অবস্থান করেন নি। এছাড়াও তাদের প্রতিষ্ঠান সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা কর্মি নিয়োজিত সহ গেইটে সিকিউরিটি চেক পোস্ট রয়েছে। এছাড়াও কোন অবস্থাতে ইয়াবা কিংবা অবৈধ কোন কিছু নিয়ে কেউ প্রবেশ করার সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।
সিবিএন সূত্রে; কক্সবাজার সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, রােববার সকালে মুনতাসির তাহামিদ নিসর্গ নামের এক ব্যক্তি তার বন্ধু আবির রহমান রুমিকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। অতিরিক্ত ইয়াবা সেবনের কারণে রােগীর শরীরে বিষক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে সদর থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন মাসুম খান জানান, আবির ও আরিফিন কয়েক বন্ধু কক্সবাজারে বেড়াতে আসে। ইয়াবা সেবনে আবির ও আরিফিন অসুস্থ হয়ে পড়ে। আরিফিন ঢাকায় চলে গেলেও আবিরের অবস্থা খারাপ থাকায় তাকে ঢাকায় নেয়া সম্ভব হয়নি। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবির মারা যায়। আবিরের বাবা মিজানুর রহমান বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের অনুমতি চেয়ে কক্সবাজার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেন। পিতার আবেদনের প্রেক্ষিতে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে মরদেহ গত রাতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
0 মন্তব্যসমূহ