চৌফলন্ডীর হাবিবুল্লাহ অপহরনের মূলহুতা কালা পুতু পুলিশের জালে আটক, ছাড়িয়ে নিতে লাখ টাকার মিশন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার সদরের চৌফলন্ডী ইউনিয়নের বাসিন্দা জনৈক মৃত আব্দু সুবহান এর পুত্র হাবিবুল্লাহ গত ১ অক্টোবর অপহরন হয়। অপহরণের জেরে হাবিবুল্লাহ'র স্ত্রী পারভিন আক্তার বাদী হয়ে গত ১০ অক্টোবর কক্সবাজার সদর মডেল থানায় কালা পুতু (৩০), এসএম বদিউল আলম (৪৫), শহিদুল্লাহ (২৩) ও শাহজাহান প্রঃ পুতিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগকে কেন্দ্র করে ২ নভেম্বর গভীর রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানার চৌকশ উপ-পরিদর্শক রাজিব কুমার অভিযান চালিয়ে অভিযোগের ১ নং অপরাধী কালা পুতুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এরপর থেকে শুরু হয় প্রভাবশালী মহল কর্তৃক কালা পুতুকে ছাড়িয়ে নিতে লক্ষ টাকার মিশন। ইতিমধ্যে কালা পুতুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ সীমান্ত এলাকা বান্দরবন জেলার আলীকদম থানা এলাকার গভীর জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে অপহৃত হাবিবুল্লাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান।

জানা যায়, বদিউল আলম মনিরের সত্বাধীন চিত্রা ট্রাভলস এজেন্সীতে কাজ করতেন পুলিশের হাতে আটককৃত এই কালা পুতু। আটক কালা পুতু জামিনদার হয়ে গত ৭ এপ্রিল হাবিবুল্লাহ কাছ থেকে ৮ জনের জন্য ৮টি ভিসা দেওয়ার কথা বলে নগদ ৩০,২৪,০০০ টাকা সাক্ষীগণের সম্মুখে গ্রহণ করে। এই নিয়ে গ্রাম আদালতে শালিসি বৈঠকে হাবিবুল্লাহর কাছ থেকে বিভিন্ন দফায় উক্ত টাকা গ্রহণের কথা স্বীকার করে এই কালা পুতু। তারই জের ধরে চৌফলন্ডী ইউনিয়নের গ্রাম্য আদালতে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সাবিনা ইয়াছমিন একখানা ডিক্রি প্রদান করে। হাবিবুল্লাহ এই কালা পুতুকে ভিসা প্রদান নতুবা টাকা ফেরতের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে দিবদিচ্ছি বলে আশ্বাস প্রদান করলেও ভেতরে ভেতরে ফন্দি আকতে থাকে কালা পুতু চক্র। তারই জের ধরে বিগত এক মাস পূর্বে অভিযোগে উল্লেখিত অপরাধীরা হাবিবুল্লাহকে অপহরন করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। হাবিল্লাহর পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খুজাখুজি করে কোন হদিস না পেয়ে গত ১০ অক্টোবর অভিযোগটি দায়ের করেন।

হাবিবুল্লার স্ত্রী জানান, অচেনা বিভিন্ন মোবাইল ফোন নাম্বার থেকে প্রায় সময় হাবিবুল্লাহ'র মুক্তিপন হিসাবে মোটা অংকের টাকা দাবী করে আসছিল। অপহরন চক্রের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করায় হাবিবুল্লার পরিবারের দাবী, কক্সবাজারে ঘুরতে আসা হাবিবুল্লাহার ছেলে হাফেজ আব্দুল্লাহ (১৮) অপহরন চক্রের হুতারা সুবিধাভোগি পুলিশ সদস্যের সাথে যোগসাজশ করে মাদক দ্রব্য দিয়ে মিথ্যা মামলা জেল হাজতে প্রেরন করে। হাবিবুল্লাহ'র স্ত্রী পারভিন আক্তার আশংকা করে বলেন, যেকোন সময় অপহরন চক্রদের মাধ্যমে তার পরিবারের নেমে আসতে পারে ভয়াবহ পরিনতি। তিনি অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তাছাড়াও এই অপহরণের মূল হুতা কালা পুতুকে রিমাণ্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্পূর্ণ বেরিয়ে আসবে বলে জানান হাবিবুল্লার পরিবার।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ