কক্সবাজারে বাঁকখালী নদীর প্যারাবন রক্ষা ও অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের দাবীতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজার শহরের ঐতিহ্যবাহী বাঁকখালী নদীর প্যারাবন রক্ষা ও অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এনভায়রনমেন্ট পিপল’। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিকাল তিন টায় কক্সবাজার শহরের কস্তুরাঘাটের বাঁকখালী নদীর প্যারাবন সংলগ্ন এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশ নেয় পরিবেশকর্মীরা। এর আগে পরিবেশকর্মীরা বাঁকখালী নদীর দখল, দূষণ, ভরাট, স্থাপনা নির্মাণ, বর্জ্য ফেলা ও প্যারাবনের গাছ কাটার ভয়াবহ চিত্র পরিদর্শন করেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বঙ্গোপসাগর ও বাঁকখালী নদীর তীরেই গড়ে উঠেছে কক্সবাজার শহর। সেই ঐতিহ্যের বাঁকখালী নদী আজ দখল-দূষণে হুমকির মুখে পড়েছে। প্রকাশ্যে নদী ভরাট করে সরকারি জমি দখলে নিয়ে প্লট আকারে বিক্রি হচ্ছে। নদীর জোয়ার-ভাটার প্রবাহ বাঁধ দিয়ে বন্ধ করে ভরাট করে হচ্ছে। ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে বাঁকখালী নদীর জীববৈচিত্র্য। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট ও জাপানি সংস্থার সৃজিত প্যারাবনের গাছ প্রকাশ্যে কেটে নিয়ে ভরাট করে ফেলছে অবৈধ দখলদাররা। প্যারাবনে থাকা হাজার হাজার পাখির আবাসস্থল ধ্বংস করা হয়েছে। কক্সবাজার বাঁকখালী নদী রক্ষায় পরিবেশকর্মীদের মানববন্ধন। কয়েকদিনের ব্যবধানে প্যারাবনের অন্তত ১৫ হাজার গাছ কেটে নেয়া হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তারা বাঁকখালী নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষা, দখল-দূষণ রোধ, ভরাট ও বর্জ্য ফেলা বন্ধ, সরকারি সম্পদ রক্ষা, প্যারাবন রক্ষা, পাখির আবাসস্থল রক্ষা এবং প্যারাবনের গাছ কর্তনকারিদের আইনের আওতায় এনে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের দাবি জানান। পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এনভায়রনমেন্ট পিপল’ এর প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, ‘প্রকাশ্যে বাঁকখালী নদী দখল-দূষণের শিকার হচ্ছে। সরকারি সম্পদ দখল করে ভরাট করে প্লট আকারে বিক্রি হচ্ছে। অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রকাশ্যে প্যারাবনের হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। প্যারাবনে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। দেশের প্রচলিত কোন আইন মানেন না দখলদাররা।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে বাঁকখালী নদীর জোয়ার-ভাটার প্রবাহ বিদ্যমান, যেখানে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট প্যারাবন রয়েছে সেখানে জেলা প্রশাসন ও ভূমি প্রশাসন জমি বিক্রির অনুমোদন ও খতিয়ান সৃজন করে দিচ্ছে। সেই সুযোগে কিছু লোক প্যারাবন ধ্বংস ও জোয়ার-ভাটার প্রবাহ বন্ধ করে ভরাট করে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করছেন।’ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মুহাম্মদ হোসাইন, সিরাজুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, শাহাদাত হোসাইন, হামিদুল হক, সাইমুল কবির চৌধুরী সাদমান, শাখাওয়াত হোসেন, সাকিব, আয়াজ মাহমুদ হক, সাইদুর রহমান শিমুল, মাহমুদ আলম মাহিন, আরমান কাদের, মোঃ সাকিব, শারুফ ইসলাম, আবু রাহাত, শাহারিয়া কবির চৌধুরী শাউন, মারুফুল ইসলাম, রাকিবুল ইসলাম, রবিউল হাসান, মোঃ রফিকুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম সেতু, মোহাম্মদ আজাদ, মারুফ বিন হাফিজ, হোসনে বিন তুহিন, ইরফান মোহাম্মদ আরমান, ওয়াসিফ উদ্দিন, জাহেদুল করিম, মোহাম্মদ তুষার, মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ ইউনুস, মোহাম্মদ হানিফ, মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ বাবু, আল মুক্তাদির চৌধুরী ও রাশেদুল করিম প্রমুখ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ