পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক আটক পুলিশ ফেরত দুই পুলিশ কারাগারে; চারজনের নামে মামলা


মোঃ কামরুল ইসলাম কামু, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
 

পঞ্চগড়ে সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিএসএফের ফেরত দেওয়া পুলিশ সদস্য ওমর ফারুকসহ চারজনের নামে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে দুই পুলিশ সদস্য পঞ্চগড় পুলিশ লাইনসে কর্মরত এএসআই মোশারফ হোসেন ও পুলিশ সদস্য ওমর ফারুককে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার রাতে সদর থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বাদি হয়ে চার জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামীরা হলেন, সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া সীমান্তের মমিনপাড়া এলাকার আমিরুল ইসলাম (৪৫) ও মাসুদ। মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই সীমান্ত এলাকার আমিরুল ইসলাম একজন মাদক ব্যবসায়ী। তার বাড়ির পরেই ভারতের সীমানা শুরু। পাশর্^বর্তী ভারতের সিপাইপাড়া এলাকার মাদক ব্যবসায়ীর সাথেতার মাদক সম্পর্কিত যোগাযোগ রয়েছে। পুলিশের এএসআই মোশারফর হোসেন ও পুলিশ সদস্য ওমর ফারুক ধীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসায়ী আমিরুলের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। 

রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে পুলিশের এএসআই মোশারফ হোসেন, পুলিশ সদস্য ওমর ফারুক, মমিনপাড়া এলাকার আমিরুল ইসলাম ও মাসুদ নামে এক ব্যক্তি সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের সিপাইপাড়া এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ভুট্রোর বাড়িতে যান। এ পর্যায়ে ভুট্রোর সঙ্গে তাদের কথা কাটাকটির এক পর্যায়ে দুই পুলিশ সদস্যের সঙ্গে থাকা হাতকরা ভুট্রোর হাতে পড়াতে যান। এ সময় ভুট্রোর চিৎকারে তাঁর স্বজন ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে পুলিশ সদস্য ওমর ফারুককে আটক করে। তার সঙ্গে থাকা এএসআই মোশারফ হোসেন, আমিরুল ইসলাম ও মাসুদ পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। পরে ভারতীয়রা ওমর ফাাংককে ধরে মারধর করে এবং ভারতের চানাকিয়া বিএসএফ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যদের হাতে তুলে দেয়।

সোমবার সন্ধ্যা ওই সীমান্ত এলাকায় ৭৫৩ নম্বর মেইন পিলারের কাছে বিজিবি ও বিএসএফের ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক শেষে পুলিশ সদস্য ওমর ফারুককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। সদর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) জামাল হোসেন বলেন, পুলিশ সদস্য ওমর ফারুকের সঙ্গে পুলিশ লাইন্সে কর্মরত এএসআই মোশারফ হোসেন, মমিনপাড়া এলাকার মাদক ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম ও মাসুদ নামে এক ব্যক্তি ছিলেন। সোমবার রাতেই তাদের নামে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেফপ্তার দেখিয়ে দুই পুলিশ সদস্যকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পতাকা বৈঠকের মধ্যেমে বিএসএফের ফেরত দেওয়া ওমর ফারুক নামে ওই ব্যক্তি পুলিশ সদস্য হওয়ায় আমরা তাকে পুলিশের হাতেই তুলে দিয়েছি। পুলিশ বিষয়টি বিভাগীয় তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ