নীলফামারীর ডোমারে আবারো সন্ত্রাসীর চাপাতির কোপে এনজিও কর্মী গুরুতর আহত

রতন কুমার রায়, স্টাফ রিপোর্টার: 
নীলফামারীর ডোমারে সন্ত্রাসীর ছুরির কোপে দুই এনজিও কর্মীর গুরুতর আহত হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আবারো আরেক এনজিও কর্মীর সন্ত্রাসীর চাপাতির কোপে গুরুতর আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। 

সোমবার সকাল ১০ টার সময় উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের ঋষিপাড়া এলাকায় বে-সরকারী সংস্থা ব্র্যাকের কর্মসূচী সংগঠক পুলু রহমানকে (৩৫) এলোপাতারি চাপাতি দিয়ে কোপায় ওই এলাকার মাদকসেবী সুকুমার ঋষি (৩০)। দুপুর দেড়টায় মেলাপাঙ্গা এলাকা হতে তাকে আটক করে পুলিশ। সন্ত্রাসী মাদকসেবী সুকুমার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের ঋষিপাড়ার গনেশ ঋষির ছেলে। ঝ

পুলু রহমান (৩৫) ব্র্যাকের ইউপিজি প্রোগ্রামের কর্মসুচি সংগঠক ও পাশ্ববর্তী বোদা উপজেলার সাকোয়া এলাকার জবেদ আলীর ছেলে। 

প্রকাশ্য দিনের বেলা দুইদিনে দু’টি ঘটনায় সন্ত্রাসীর চাপাতির কোপে তিন এনজিও কর্মী গুরুতর আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় অন্যান্য এনজিও কর্মীরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।

ব্র্যাক ইউপিজি প্রগ্রামের নীলফামারী রিজিওনাল ম্যানাজার  নুর মোহাম্মদ জানান, গত বছরের ২৬ এপ্রিল ইউপিজি প্রগ্রামের আওতায় পিছিয়ে পড়া অতিদরিদ্র জনগোষ্টিকে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে ফুলতি রানীকে ব্র্যাক থেকে ১৮ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনে দেয়। 

আগামী এক বছর গরুটি বিক্রি না করার শর্তে গরুর রোগের সকল চিকিৎসা বহন করছিল ব্র্যাক। সুবিধাভোগী ফুলতির স্বামী গরুটি বিক্রি করে দিয়েছে বলে খবর পেয়ে, প্রকল্পের কর্মসুচি সংগঠক পুলু রহমান ফুলতির বাড়ীতে গিয়ে গরু বিক্রির বিষয়ে জানতে চায়। 

ওই সময় ফুলতির স্বামী মাদকসেবী সুকুমার ঋষি ধমক দিয়ে বলেন, আমার গরু আমি বিক্রি করেছি, আপনার তাতে কি? পুলু রহমান প্রকল্পের বিভিন্ন নিয়মের কথা তাকে জানালে সুকুমার ক্ষিপ্ত হয়ে ঘর থেকে ধারালো চাপাতি বের করে তাকে এলোপাতারি ভাবে কোপাতে থাকে। 

পুলুর চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসী সুকুমার পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী পুলু রহমানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান । 

এ বিষয়ে ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সুকুমার ব্র্যাকের এক কর্মীকে কুপিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে পালানোর পরিকল্পনা করছিল। এলাকাবাসীর সহায়তায় মেলাপাঙ্গা হতে তাকে আটক করা হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, রবিবার (১৬ আগষ্ট) উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের চাকধা পাড়া এলাকায় সে-সরকারী সংস্থা আশা’র দুই কর্মী সন্ত্রাসীর ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ