পঞ্চগড়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিডি চাল আত্মসাতের অভিযোগ


মো. আবু নাঈম, পঞ্চগড়:
পঞ্চগড়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজির চালের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে সাড়ে চার হাজার টাকা করে উৎকোচ দিয়েও ভিজিডি কার্ড পাননি আকতারা বানু আমেনা খাতুন নামের হত-দরিদ্র দুই নারী। বার বার আশ্বাস দিয়েও কথা রাখেননি চেয়ারম্যান। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারি বরাদ্দকৃত ত্রাণ চাইতে গিয়ে তারা জানতে পারেন গত ১৪ মাস আগেই তাদের নাম ভিজিডি তালিকাভুক্ত হয় এবং তখন থেকেই তাদের নামে বরাদ্দকৃত চাল অজ্ঞাত কেউ উত্তোলন করে আসছে। ঘটনাটি ঘটেছে তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নে। এঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন হকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ করেছেন ইউনিয়নের হরবাবী গ্রামের জাহিরুল ইসলামের ভুক্তভোগি স্ত্রী আকতারা বানু দেলোয়ার হোসেনের ভুক্তভোগি স্ত্রী আমিনা খাতুন। অভিযোগে তারা জানান, গত দেড় বছর আগে ১০ টাকা কেজির চালের জন্য চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি তাদের কাছে ছয় হাজার টাকা উৎকোচ চান। পরে তারা পাঁচ হাজার টাকা করে দেয়ার স্বীকৃতি দিয়ে সাড়ে চার হাজার টাকা নগদ দেন এবং বাকী ৫০০ টাকা ভিজিডি কার্ড করে দিলে দিবেন বলে চেয়ারম্যানকে কথা দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হলেও ভিজিডি কার্ড পাননি তারা। এমনকি তাদের দেয়া উৎকোচের টাকাও ফেরত দেয়নি চেয়ারম্যান মহসিন। তারা বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি ত্রাণ সহায়তার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গেলে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান আমরা ভিজিডি তালিকাভুক্ত উপকারভোগি। তাই আমরা নতুন করে কোন ত্রাণ পাবোনা। অথচ, আমরা আগে কখনই জানতামনা যে আমরা ভিজিডি তালিকাভুক্ত। কে বা কারা আমাদের চাল উত্তোলন করে সেটাও জানিনা। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে অবগত করলে তিনি আমাদের উপর চড়াও হয়ে বলেন, আমরা ১০ টাকা কেজির চাল পাবোনা। এদিকে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মহসিন হক বলেন, অভিযোগ হওয়ার পরে বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। উনাদেরকে মহিলা ইউপি সদস্য মোছাঃ লিলি বেগম ভিজিডি তালিকাভুক্ত  করেছিলেন হয়তো। উনি এখন বেঁচে নেই। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্তের জন্য মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা মিললে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ